প্রতিবছর ঈদযাত্রায় নানা ভোগান্তির অভিযোগ থাকলেও এ বছর যাত্রীদের সেরকম অভিযোগ নেই। তারপরও প্রতিবছর ঈদের আগের দিন মানুষের চাপে সড়কপথ, রেলপথ কিংবা নৌপথ সবগুলোতে মানুষের গাদাগাদি। তবে এবার দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।

যেখানে ঈদের আগাম টিকিট ছাড়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই উধাও হয়ে যায় সোনার হরিণখ্যাত ট্রেনের টিকিট, সেখানে ঈদের আগের দিন বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ট্রেনের অর্ধেকেরও বেশি টিকিট অবিক্রীত রযেছে।

এদিকে ঈদযাত্রার শেষ দিন বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপও তেমন নেই। স্বস্তিতেই ঘরে ফিরছে গুটি কয়েক মানুষ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে ঘিরে গত কয়েকদিন যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল কমলাপুরে রেলস্টেশনে। বিশেষ করে, গত কয়েকদিনে উত্তরাঞ্চল ও চট্টগ্রামগামী ট্রেনগুলোতে যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। আজ বেশি দূরত্বের যাত্রীদের চাপ কম, কাছাকাছি গন্তব্যের যাত্রীর সংখ্যা রয়েছে মোটামুটি।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার ট্রেনে তেমন শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। সময়মতো স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে প্রতিটি ট্রেন। প্রতিবছর ঈদযাত্রায় নানা ভোগান্তির অভিযোগ থাকলেও এ বছর যাত্রীদের সেরকম অভিযোগ নেই।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেছেন, ট্রেনে কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। প্রতিটি ট্রেন তার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ত্যাগ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) চাঁদ দেখা না যাওয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। তাই, বুধবার (১০ এপ্রিল) ও শুক্রবারের (১২ এপ্রিল) ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে। অনলাইন ও কাউন্টার উভয় জায়গায় টিকিট পাওয়া যায়।

যারা গতকাল টিকিট কিনেছেন, তারা আজ ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন। ১০ এপ্রিল ও ১২ এপ্রিল শুধু রেগুলার ট্রেনগুলো যাতায়াত করবে। যে ট্রেনের ডে অফ বা সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে, সেগুলো চলবে না।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের অগ্রিম টিকিটে ঈদযাত্রা শুরু করে ঘরমুখো মানুষ। এসব দিনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ২৪ থেকে পর্যায়ক্রমে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আবার ১৩ এপ্রিল থেকে ঢাকায় ফেরার যাত্রা শুরু হবে। ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এসব টিকিট বিক্রি হয়েছে।